রাসেলস ভাইপার কিংবা চন্দ্রবোড়া এক আতঙ্কের নাম!
রাসেল ভাইপারের কামড়েই মৃত্যু! এই ভীতি দিন দিন যেমন বাড়ছে তেমনি এর কামড়ে মৃতের সংখ্যাও কিন্তু এড়িয়ে যাওয়ার নয়। সাধারণত জনসম্মুখে এটি চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সাপের উপদ্রব বেড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কুষ্টিয়া জেলা। সাধারণত দ্বীপ অঞ্চলে এর সংখ্যা অনেক হয়ে থাকে। রাসেল ভাইপারের কামড়ে শরীরের বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়।
বিভিন্ন লক্ষণগুলো হলো-
১) শরীরের অঙ্গগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা।
২) নিয়মিত রক্তক্ষরণ
৩) রক্ত জমাট বাঁধা।
৪) স্নায়ু দূর্বল।
৫) প্যারালাইজড
৬) কিডনি নষ্ট করে।
রাসেল ভাইপার চেনার উপায়?
রাসেল ভাইপার পৃথিবীর অন্যতম বিষধর সাপের একটি। এটি একটি বাচ্চা পাইথনের মতো দেখতে। শরীর অনেকটা সমতল, ত্রিভুজাকৃতির মাথা, মাথায় কালো-বাদামি ফোঁটা, এবং এটি শুকনো পাতা কিংবা ফসলি জমিতে দেখা যায়।
এটি অন্যান্য সাপের মতো অনেক আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে যখন এটি হুমকি ফিল করে। এটির কামড়ে মাত্র ১-২ ঘণ্টার মধ্যে শরীরের অঙ্গগুলোর ক্ষতি করা শুরু করে। এটি মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় কামড় দেয়া জায়গায় পঁচন ধরা শুরু করে।
★রাসেল ভাইপারের জীবন ধারণ।
এটি একটি স্থলজ প্রাণী৷ সাধারণত এরা একা থাকতে পছন্দ করে। এরা নিশাচর প্রাণী। রাতের বেলায় এরা বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে৷ তবে শীতল আবহাওয়ায়ও এরা অনেক সস্ক্রিয় হয়ে উঠে। এরা দিনের বেলায় রোদে শুয়ে থাকে আর বাকিটা সময় এদের গর্তে থাকে, মাটির ফাটলে কিংবা পাতার আবর্জনায় লুকিয়ে থাকে। এরা সাধারণত অলসভাবে চলাফেরা করে। যতক্ষণ না এরা হুমকির সম্মুখীন হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক সাপগুলো হুমকির মুখামুখি হলে আক্রমণ করে বসে না। এরা ফুস তুলতে থাকে। যা অন্যসব সাপের চেয়েও অধিক উচ্চস্বরে। তবে অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক হলে এরা একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীর বেশিরভাগ অংশের উপরে উঠে যেতে পারে।